দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে বেলান নদীর গতিপথ বন্ধ করে নির্মিত বিকল্প রাস্তাটিও আবারও ভেঙে গেছে। আর সেই অবস্থায় নদী পার হতে গিয়ে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের রোস্তম আলী নামক এক গরু ব্যবসায়ী প্রায় ৫৫ হাজার টাকা দামের একটি গরু নিয়ে নদী পার হতে গিয়ে পানির স্রোতে পড়ে গিয়ে গরুটি মারা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ভান্ডারদহ গ্রামের তেলিপাড়া নামক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের (৩৫)।
জানা গেছে, ইতোপূর্বে ওই স্থানে বেশ কয়েকবার দায়সারাভাবে সাঁকো নির্মাণ ও রাস্তা মেরামত করা হলেও কিছু দিন পর সেগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর কাজ ফেলে রাখলেও দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রীজটি গত ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারী কাজ শুরুর কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেন ১৬ জুন। এই ব্রিজটির কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে এ বছরের ১৪ এপ্রিল।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, এলজিইডির বাস্তবায়নে বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকেরহাট থেকে খানসামা সড়কে বেলান নদীর ওপর ৩৫ মিটার গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
বর্ষার আগে সেতুর কাজ শেষ করবে মর্মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যানবাহন ও পথচারীদের যাতায়াতে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে।কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় পানি পারাপারে রিং বসানো হয়েছিল। সেটিও পানি প্রবাহের কারণে ভেঙে যায়। পরে সেই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পানির চাপে সেই সাঁকোর দুই পাশেই ভেঙে যায়। তখন এ নিয়ে বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ অনলাইন নিউজ প্রোর্টালে, খবর প্রকাশিত হয় তার কিছুদিন পরে আবার নদীর গতিপথ বন্ধ করে রিং বসিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। তবে সেই রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে আবার ভেঙে যায়।সর্বশেষ আজ ১৫ এপ্রিল রবিবার পুনরায়, এই বিকল্প রাস্তাটি ভেঙে যায়।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ওপর নির্মিত বিকল্প রাস্তা গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়ার ফলে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াতকারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে পাকেরহাট জাকির মার্কেট হয়ে নিউ পাকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মোড় দিয়ে ভান্ডারদহ, বালাডাঙ্গী, ডাঙ্গপাড়া, খামারপাড়া, হোসেনপুর, সহজপুর ও খানসামাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ-ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনেই ব্রিজের কাজটি শেষ করা সম্ভব হয় নি, তবে আগামী মাসের মধ্যে কাজ করা সম্ভব হবে এর মাঝে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য সাঁকো নির্মান করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।